হযরত আবেদ আলী শাহ (রাহঃ) এর রওজা ও মাজার রয়েছে
বড়াইল গ্রামের উমেদ আলী হাজীর বাড়ীতে এবং শরীফপুর গ্রামে একটি খানকা রয়েছে।
বিবিএস: নিউজ-
হযরত আবেদ আলী শাহ (রাহঃ) একজন আধ্যাত্মিক উচ্চ জ্ঞান সম্পন্ন সুফি সাধক। উনার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামে। সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। বড়াইল গ্রামের উমেদ আলী হাজীর বাড়ীতে উনার নামে “হযরত আবেদ আলী শাহ (রাহঃ)” নামে উনার রওজা ও মাজার শরীফ রয়েছে।ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বড়াই গ্রামের বিশিষ্ট্যি ধার্মীক ব্যক্তিত্ব আবদুল মজিদ। উনার ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে সবার বড় হলেন হযরত আবেদ আলী শাহ (রাহঃ)। আবদুল মজিদ সাহেবের অন্য ছেলেদের মধ্যে রয়েছেন (২) মোঃ ফজলুর রহমান (৩)মোঃ মজিবুর রহমান, (যিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন) (৪) মোঃ মিজানুর রহমান। হযরত আবেদ আলী শাহ আধ্যাত্মিক জগতের একজন উচ্চস্তরের ওলিআল্লাহ ছিলেন। উনার কর্মময় জীবনে অনেক কেরামতি ও অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা ওনার ভক্তবৃন্দের কাছ থেকে পাওয়া যায়। উনি ওফাত বরণ করেছেন চৈত্র মাসের ২ তারিখ তথা ১৬ই মার্চ ২০১৪ইং সনে। শবল নামে উনার এক ছেলে রয়েছে। উনি তরিকা জগতের সাধনা করতে গিয়ে অনেক উচ্চ স্তরের ওলি ছিলেন কিন্তু কাউকেই মেরিদ করতেন না। তবে দেশ-বিদেশে উনার অনেক ভক্তবৃন্দ রয়েছে। এমনই একজন ভক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মোঃ খাজা আহমেদ।পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ। হযরত আবেদ আলী শহ’র ভক্ত মোঃ খাজা আহমেদ শরীফপুরে তার নিজ বাড়ীতে হযরত আবেদ আলী শাহ (রাহঃ)এর নামে একটি খানকা নির্মাণ করেছেন। উক্ত খানকাতে প্রতি চঁন্দ্র মাসের ৮ তারিখে জিকির মাহফিল করা হয়। হযরত আবেদ আলী শাহ (রাহঃ) এর মাজার শরীফের বিভিন্ন কার্যক্রমের সার্বিক দায়িত্ব রয়েছেন উনারই ছোট ভাই, ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মজিবুর রহমান।চ্যানেল-26 এবং বিবিএস নিউজ এর সাথে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে ভক্ত কাউছার মিয়া এবং ভক্ত মোঃ খাজা আহমেদ তাদের জীবনে ঘাটে যাওয়া বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা এবং আবেগ অনুভূতির কথা শিয়ার করেন।
