“গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন প্রযুক্তির
শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।”
বিবিএস- নিউজঃ
কবীর হোসাইন
প্রধান শিক্ষক
হাজী আবদুল
কুদ্দুছ স্কুল এন্ড কলেজ
আনন্দিদিল,
আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হাজী আবদুল
কুদ্দুছ স্কুল এন্ড কলেজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আন্দিদিলে উপস্থিত।স্কুলটির
প্রতিষ্ঠাতা- হাজী আবদুল কুদ্দুছ, সভাপতি- অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু। প্রধান শিক্ষক-
কবীর হোসাইন। শিক্ষার সার্বিক প্রেক্ষাপট, গ্রাম বাংলার সাধারণ পরিবারের ছেলে মেয়েদের
শিক্ষার দৃশ্যপট এবং কোভিড-১৯ জনিত কারণে শিক্ষার বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এরই
মাঝে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর উপর দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে বাঙ্গালীর একুশে
এবং চ্যানেল-26 এর সাথে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,“মুজিব শত বর্ষে হাজী আবদুল
স্কুল এন্ড কলেজের পক্ষ থেকে চ্যানেল-26 কে অশেষ ধন্যবাদ। পরমকরুনাময় আল্লাহর রহমতে
আমরা বাংলাদেশ বিশ্বের তুলানায় অনেক ভাল অবস্থানে আছি এই করোনা পরিস্থিতে। এখন আমরা
শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি অনলাইনের মাধ্যমে তা কতটুকু কার্যকর তাও আমাদের পর্যবেক্ষণ
করতে হবে। যাদের হাতে অনলাইন প্রযুক্তি নেই তারা এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বৈষেম্যের শিকার
হচ্ছে। তারপরও সরকারের এই পদক্ষেকে আমরা স্বাগত জানাই। শিক্ষা বিষয়ক পাঠ্যগুলো আমরা
ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিতে যেন পারি সেই প্রত্যাশা করছি। বলতে গেলে আমাদের সবকার্যক্রম
আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চলমান রয়েছে। তারই পাশাপাশি আমরা শিক্ষাটাকেও গতিশীল
করতে চাই। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের আান্তরিকতার মাধ্যমেই এই স্থবিরতা থেকে
বেরিয়ে আসার রাস্তা খুঁজতে হবে। কোভিড-১৯ জনিত কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রীই ইতিমধ্যেই
ঝড়ে পরছে। এই ঝরেপড়া আমাদের রোধ করতে হবে। গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের বেশীরভাগের কাছেই
অনলাইন প্রযুক্তির যে টুলস যেমন কম্পিউটার, এন্ড্রয়েট মোবাইল না থাকার কারণে তারা গতানুগতিক
এই শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।” আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ সম্পর্কে
তিনি বলেন,“ একুশ বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের অমেয় শক্তি, একুশের চেতনায়ই আমারা অর্জন করেছি
আমাদের মহান স্বাধীনতা। এখন সারা বিশ্বজুড়েই বিকশিত হচ্ছে আমাদের মাতৃভাষার গৌরব।”

No comments:
Post a Comment